নীলফামারীর ডিমলায় দরদাম করে ও টাকা গুনে প্রকাশ্যে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদকে দণ্ড হিসেবে দুই বছরের জন্য বেতন গ্রেড দুই ধাপ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তা সার্ভিস বুকে লিপিবদ্ধ করার আদেশ দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের স্বাক্ষরে ২৬ জুন এক আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
আদেশে বলা হয়, নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বিধিমালা অনুযায়ী বর্তমান বেতন গ্রেডের দুই ধাপ নিচে অবনমিতকরণ দণ্ড দেয়া হয়েছে।
এই আদেশ ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী দুই বছর বহাল থাকবে। দণ্ডের মেয়াদ শেষ হলে তিনি বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন। তবে অবনমিতকরণ বেতন তিনি ভবিষ্যতে বকেয়া হিসেবে পাবেন না।
গত বছরের ২৪ আগস্ট শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদের দরদাম করে ঘুষ নেয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ঘুষ নেয়ার ভিডিওটি ভাইরাল হলে তিনি ঘুষ নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উপরে টাকা দিতে হয় তাই কিছু টাকা নেয়া।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। এতে ওই কর্মকর্তার শুনানী সন্তোষজনক না হওয়ায় জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন বলেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট অফিসের আদেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিএইচ